
হস্পতিবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার বাসপদুয়া সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের মধ্যে মিল্লাতের মরদেহ ফেনী সদর হাসপাতালে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
অন্যদিকে লিটনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিলোনিয়া হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে মৃত্যুবরণ করেন।
নিহত মিল্লাত পরশুরাম পৌরসভার বাসপদুয়া এলাকার ইউছুফ মিয়ার ছেলে ও মো. লিটন একই গ্রামের গাছি মিয়ার ছেলে।
বিজিবির ফেনী ব্যাটালিয়ন (৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে গুথুমা বিওপির আওতাধীন ২১৬৪/৩এস পিলার অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে তারকাটার কাছে যান মিল্লাত, লিটন, আফছার ও তার তাদের সহযোগিরা। তখন তাদের লক্ষ্য করে বিএসএফ সদস্যরা গুলি ছোড়েন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিল্লাতের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে লিটনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিলোনিয়া হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে বিজিবির ফেনী ব্যাটালিয়ন (৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, বাসপদুয়া সীমান্ত চোরাকারবারি প্রবণ এলাকা। বিএসএফের গুলিতে সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে লিখিত প্রতিবাদ জানানো হবে।